আর বেশি দেরি নেই। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তারই আগে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা সপ্তাহখানেক ধরেই দেশভাগ বিতর্কে উত্তাল কর্ণাটক। সেরাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশ বলেছিলেন, কেন্দ্র যদি ক্রমাগত বঞ্চনা করতে থাকে তাহলে পৃথক দেশের দাবিতে সরব হতে বাধ্য হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলো। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংসদে দাঁড়িয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি বা রাজ্যের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা।
প্রসঙ্গত, সেখানেই তিনি স্পষ্ট বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ডি কে সুরেশ ও বিনয় কুলকার্নি হল দেশের ‘গদ্দার’। ওরা দেশকে ভেঙে ফেলতে চায়। আমি চাই এমন একটা আইন হোক, যেখানে এই দেশদ্রোহীদের গুলি করে হত্যা করা যাবে।” উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দিল্লীতে হিংসার আবহে ছড়িয়ে পড়েছিল বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ স্লোগান। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, দেশদ্রোহীদের গুলি করে হত্যার আইনি ছাড়পত্র চেয়ে আবার সেই স্লোগানই ফিরিয়ে আনলেন ঈশ্বরাপ্পা। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সারা কর্ণাটক জুড়ে। সরব হয়েছেন সমাজকর্মী কবিতা রেড্ডি। “আমি যদি বলতাম গণধোলাই দিয়ে ঈশ্বরাপ্পাকে হত্যা করা হোক, তাহলে বেঙ্গালুরু পুলিশ এখনি গ্রেফতার করত। কিন্তু ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেই। আসলে ক্ষমতার উপরেই নির্ভর করে”, এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন তিনি।