ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, তাঁর আমলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। তৃণমূলের তরফ থেকেও সাংবাদিক বৈঠক করে সিএজি-কে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের দাবি করা হয়েছে, মমতা জমানায় রাজ্য সরকার সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে কেন্দ্রকে। জানা গিয়েছে, তাদের হাতে এসেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসারকে পাঠানো মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর ধরমবীর ঝাঁর তিনটি চিঠি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সিএজি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, বাংলা নাকি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অনুদান বাবদ আসা টাকার মধ্যে থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও শংসাপত্র (উটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দিতে পারেনি। এর জন্যেই নাকি ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অনুদান আটকে আছে। তবে মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর ধরমবীর ঝাঁর তিনটি চিঠি উদ্ধৃত করে এক বেসরকারি সংবাদ পত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের ২২ জুন একটি এবং ২০২১ সালেরই ১৪ ডিসেম্বর দু’টি চিঠি লিখে মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর দাবি করেছিলেন, বাংলার সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পড়েছে। এই সংক্রান্ত কোনও কাজ বাকি নেই। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে ফাঁস হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের মিথ্যাচারিতা।