বিতর্কিত চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন নিয়ে সোমবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্যালট গণনার সময় তাঁর ‘ন্যক্কারজনক ভূমিকা’র জন্য প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন প্রদান বিতারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই তিনি (প্রিসাইডিং অফিসার) ব্যালট পেপারে কারচুপি করেছেন। তিনি কি এভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করেন? এটা গণতন্ত্রের উপহাস। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। গণতন্ত্রকে এইভাবে খুন হতে দেওয়া যায় না। এই ব্যক্তির বিচার হওয়া উচিত’।
শুধু প্রিসাইডিং অফিসারকে তিরস্কার করাই নয়, চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন সম্পর্কিত সমস্ত ব্যালট পেপার এবং ভিডিয়োগ্রাফি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৭ ফেব্রুয়ারিতে চণ্ডীগড় পুর কর্পোরেশনের বৈঠক হওয়র কথা ছিল। সেই বৈঠকও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি চণ্ডীগড়ে ফের মেয়র নির্বাচন হবে?
গত ৩০ জানুয়ারি চণ্ডীগড় পুর কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন ছিল। নির্বাচনে যৌথভাবে লড়েছিল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। ৩৬ আসনের পুর কর্পোরেশনে তাদের পক্ষে মোট ২০টি ভোট ছিল। কিন্তু, ৮টি ভোট ‘টেকনিক্যাল’ কারণ দেখিয়ে বাতিল করেছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহ। ফলে, মাত্র ১৬ ভোট পেয়েও বিজয়ী হন বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার সোনকার। প্রিসাইডিং অফিসার যে ব্যালটগুলি বাতিল করেছিলেন, সেগুলি পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন আপ এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা। কিন্তু, সেই অনুমতি দেননি অনিল মসিহ। এরপরই এই নির্বাচন নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের কাউন্সিলরদের আরও অভিযোগ, ভোট গণনার ভিডিয়োত অনিল মসিহকে স্পষ্টভাবে ব্যালট পেপারে কারচুপি করতে দেখা গিয়েছে।