এবার পেটিএম সংস্থাকে কড়া ভাষায় বিঁধল কংগ্রেস। উল্লেখ্য। ইতিমধ্যেই পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কার্যকলাপ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। এর মধ্যে পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মাকে ‘মোদীভক্ত’ আখ্যা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। আজ সংবাদসংস্থা এএআই-কে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া পেটিএম প্রসঙ্গে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান কী? পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে কেন গত সাত বছর ধরে কাজ করতে দেওয়া হল? পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভক্ত। তাঁর সাথে সেলফি তোলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর নির্বাচনী জনসভায় পেটিএম-এর পক্ষে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সংস্থাগুলি চুপ কেন থাকে? এখন কেন নীরব ইডি?”
এর আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওসিএল এবং এর সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে নাকি অর্থ তছরুপ এবং পাচারের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি। এই আবহে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেদের বক্তব্য জানায় পেটিএম। মিডিয়ায় প্রকাশিত ইডির তদন্তের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পেটিএম। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত হয়েছিল। তবে পেটিএম বা সংস্থার কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না। এর আগেও পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের যে তদন্ত হয়েছিল, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করেন তদন্তকারীদের সঙ্গে। পাশাপাশি পেটিএম-এর তরফে দাবি করা হয়, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা। তারা নাকি কাজ করে এসেছে ভারতের আইন মেনেই ।
পাশাপাশি, আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি করা হয় সংস্থার তরফ থেকে। তারা দাবি করে, সুপারভিশন প্রক্রিয়ার অধীনে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। এদিকে একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির কোপ নেমে এসেছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই যে কাজ চলছিল, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।