মোদী-জমানায় দেশজুড়ে ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা। বাড়ছে বেকারত্ব। বছরে দু কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি এখনও। এখন পঁচিশ বছরের স্বপ্ন দেখাচ্ছে মোদী সরকার। দাবি করা হচ্ছে, আড়াই দশকেই নাকি ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে! কবে কী হবে, সে’সব দাবি ছেড়ে বাস্তবের মাটিতে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, সেই তিমিরেই ডুবে দেশের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ। বিরোধীদের অভিযোগ, এক দশকে মোদী সরকার দেশবাসীকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে পারেনি। বেকারত্বের হার মোদী আমলে রেকর্ড গড়েছে। এবার দেখা যাচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরির সুযোগ কমেছে। ২৪৫ বিলিয়ন ডলারে আইটি সেক্টরে অবস্থা কার্যত তথৈবচ।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি চলতি অর্থবর্ষে গোটা দেশে কেবলমাত্র ৭০ থেকে ৮০ হাজার (ফ্রেশার) ইঞ্জিনিয়ারকে চাকরি দিতে পারবে। সংখ্যাটা গত দু’দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ১৫ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া স্নাতক হবেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ১০ শতাংশও ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পাবেন না। মনে করা হচ্ছে, বিগত বছরের মতো এবারেও ইনফোসিস ও উইপ্রো কলেজ ক্যাম্পাসিংয়ে যাবে না। দেশের বৃহত্তম সফ্টওয়ার সার্ভিসেস সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি ক্যাম্পাসিংয়ে গেলেও, জানা গিয়েছে নিয়োগ কম হবে। ২০২২ অর্থ বছরেও ৬ লক্ষ ফ্রেশার চাকরি পেয়েছিলেন। করোনা পরবর্তী সময়ে, তদপুরি ইউক্রেন-ইজরায়েলে যুদ্ধের জেরে ডিজিটাইজেশেনের চাহিদা কমছে। ২০২৩ অর্থবর্ষে আইটি সেক্টরে নিয়োগ আড়াই লক্ষে নেমে এসেছিল। লাগাতার পরপর দু’বছর ফ্রেশার নিয়োগ নিম্নগামী। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।