একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুরুপের তাস ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ঘোষণা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এই প্রকল্প কার্যকর করেন তিনি। যোগ্যদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। অনেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তেও অবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি বর্ধমানের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যাঁরা দুয়ারে সরকার এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে আবেদন করেছিলেন তাঁরা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন ১৩ লাখ এবং বার্ধক্যভাতা পাবেন ৯ লাখ।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই বিভিন্ন স্কিমের টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক ব্লকের বিডিওরা বলছেন, নতুন করে যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন সেই টাকা ইতিমধ্যেই ‘প্রসেস’ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মুখ্যমন্ত্রী যেমনটা ঘোষণা করেছিলেন সেই মোতাবেক ফেব্রুয়ারি মাসেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন এই ১৩ লাখ মহিলা। এছাড়াও বিধবা ভাতা পাবেন ১ লাখ ৪ হাজার মহিলা, মানবিক ভাতা পাবেন ৭ হাজার, কন্যাশ্রী পাবেন ১০.৫ লাখ, রূপশ্রী পাবেন ৮৪.৬৭ হাজার মহিলা।