১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিজেপি বিরোধী জোটের মালা গাঁথার কাজ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সেদিন ব্রিগেডে আসবেন ২২ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। থাকবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া। তাই ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তায় কোন ফাঁক রাখছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই ব্রিগেডে মোট ৫টি স্তরে মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। প্রথম অর্থাৎ মূল মঞ্চে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবং মমতার সঙ্গে থাকবেন অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা৷ মূল মঞ্চকে ঘিরে দুপাশে তৈরি হচ্ছে আরও দুটি করে মোট চারটি মঞ্চ৷ মূল মঞ্চের পাশের মঞ্চের একটি দলের সাংসদ, বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ৷ একটি মন্ত্রীদের জন্য৷ আর একটি মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। অন্যটিতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব থেকে আঞ্চলিক ও ব্লক স্তরের নেতা-নেত্রীরা থাকবেন৷ প্রত্যেকের জন্য ওইদিন স্পেশাল আইডেন্টিটি কার্ডের ব্যবস্থা থাকছে৷ ৫টি মঞ্চের জন্য থাকছে আলাদা ৫টি গেট। ওই কার্ড দেখিয়েই নিশ্চিত করা হবে কার কে কোন মঞ্চে যাবেন এবং সেই নির্দিষ্ট গেট দিয়েই ঢুকতে হবে নেতাদের৷
শুধু তাই নয়, অন্য রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৬ জানুয়ারি নবান্নে একটি মিটিং করবে রাজ্য প্রশাসন৷ ভিভিআইপিদের সিকিউরিটির বিষয়টি দেখে তাঁদের কীভাবে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে তা ঠিক হবে মিটিংয়ে। কারণ কেউ পান জেড ক্যাটাগরির সিকিউরিটি, কেউবা জেডপ্লাস৷ সেক্ষেত্রে কোন কোন ভিভিআইপিদের সিকিউরিটি মঞ্চে জায়গা পাবে দেখা হবে সে বিষয়টিও৷
