কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ওড়িশা এফসি। আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের বিরুদ্ধেই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়েছে ওড়িশা। অর্থাৎ রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠের দল ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে হবে লাল-হলুদকে। জনসমর্থন যে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। গত বার সুপার কাপ জিতেছিল ওড়িশা। এ বারও ফাইনালে উঠল তারা। ওড়িশার কোচ সের্জিয়ো লোবেরা হারালেন তাঁর প্রাক্তন দলকে। খেলার শুরুতে দাপট ছিল মুম্বইয়ের। কিন্তু কম যায় না ওড়িশাও। পাল্টা আক্রমণ তারাও করতে থাকে। ওড়িশার আক্রমণ হচ্ছিল দুই প্রান্ত থেকে। প্রথমার্ধ শেষের মিনিট চারেক আগে পেনাল্টি পায় ওড়িশা। দিয়েগো মৌরিসিয়োকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন মুম্বইয়ের গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা। দিয়েগোই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে দেন ওড়িশাকে। দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বই সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও পারেনি। উল্টে ইসাক রালতে একটি সহজ সুযোগ না ফস্কালে ওড়িশার জয়ের ব্যবধান বাড়ত। শেষ দিকে দু’দলের খেলোয়াড়েরাই হাতাহাতিতে জড়ান। মুম্বইয়ের রয়স্টিন গ্রিফিথস, জর্জ পেরেরা দিয়াস এবং গুরকিরাত সিংহকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এরপর আর সমতা ফেরাতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফাইনাল নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উত্তেজনা। টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। ডার্বির মতোই ইস্টবেঙ্গলের প্রচুর সমর্থক ম্যাচ দেখতে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের কোচ অবশ্য স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তাঁদের পাখির চোখ ট্রফিই। বুধবার ম্যাচের শেষে সন্তুষ্ট কুয়াদ্রাত বলেন, ‘‘ছেলেরা পরিশ্রম করেছে। তার ফল পাচ্ছে। গোল পেলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ফাইনালের আগে এটা গুরুত্বপূর্ণ। সব বিভাগই ভাল খেলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। প্রতিপক্ষকে বিশেষ সুযোগ দেয়নি। দলের খেলায় আমি খুশি। যদিও আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি।’’ সুপার কাপের সব ম্যাচে জয় পেলেও সেমিফাইনালে প্রথম গোল খেতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। কুয়াদ্রাত কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের রক্ষণভাগকে। ‘‘জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত ফুটবল খেলেছে আমাদের রক্ষণ। তবে উন্নতি করার জায়গা আছে। কিছু ভুল হয়েছে। সেগুলো ফাইনালের আগে ঠিক করে নিতে হবে। গোলরক্ষকের পারফরম্যান্সও বেশ ভাল। এই সাফল্য দলগত চেষ্টার ফল’’, জানিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।
