তৃণমূলের তোপের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন এদিন তোপ দাগেন, ‘পশ্চিবঙ্গে জোট কার্যকরী না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী-ই হচ্ছেন কারণ’।
ডেরেক আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট দু’জনকে নিয়ে চিন্তিত। এক, বিজেপি। দুই, অধীর চৌধুরী। মোদী-শাহর কথা শোনা যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর গলায়। অধীর চৌধুরী গত ২ বছর ধরে ইডি, সিবিআই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন। প্রেস কনফারেন্স করছেন। তাঁর বক্তব্যে শুধুই তৃণমূল বিরোধিতা। জুনে পাটনার বৈঠকের পর ১৮০ দিন অতিবাহিত। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। জোটের সব শর্ত মেনেছি। আসন ভাগাভাগির জন্য তারা ১২ দিন সময় চাইল। আমরা তা-ও দিলাম। এখন ২১০ দিন অতিবাহিত। এরমধ্যে প্রত্যেকদিন অধীর চৌধুরী তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন’।
যদিও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিন ফের বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না।” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলায় সব সিটে একাই লড়বে তৃণমূল।” সেই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না। আমি জানি বাংলায় যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলে তৃণমূলের হওয়া অনিবার্য। আর দেশে যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলেও তৃণমূলের থাকা দরকার। আমাদের নেতা খাড়গেজী,সোনিয়া গান্ধীজী,রাহুল গান্ধীজী সবাই ওনাকে সম্মান করে’।