বর্ধমানের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘ঠুটো’ বলে তুলোধনা করলেন। আদতে বিজেপি সরকার কী কাজ করছে সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার পক্ষপাতী তিনি নন। বর্ধমানের সভা থেকে যেন সেইসব কথা শোনা গেল।
এদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই বিজেপি বিরুদ্ধে তাঁর দল বাংলায় অলআউট খেলতে চায়। সে কথা বর্ধমান পৌঁছনোর আগে ডুমুরজলাতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বর্ধমানের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনৈতিকভাবে ঠুটো। ঠুটো জগন্নাথ। ওরা বলে বাংলার সরকার নাকি কাজ করে না। কিন্তু আসল কথা হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতো সমাজসেবা আর কেউ করেনি। কেন্দ্রীয় সরকার বাড়ি বাড়ি জল দিচ্ছে বলে প্রচার করছে। কিন্তু সেই কাজ আসলে রাজ্য সরকার করে। যে জমি দিয়ে পাইপ যায় সেই জমি রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে কেনে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কর এবং জিএসটির নামে রাজ্য থেকেই টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যেখানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন নেত্রী। কলকাতার হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত সেই মিছিল হয়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুমুল নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৭৫ ভাগ খরচ করে রাজ্য। বাকি টাকা কেন্দ্র দেয়। কিন্তু তার মধ্যেও রাজ্যের টাকা থাকে। এটা অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো। এটুকু কাজ করেই প্রচার করে বেড়াচ্ছে বিজেপি সরকার।’ ইতিমধ্যেই নিয়োগের তথ্য জোগাড় করছেন তিনি। সেটাও পরবর্তী সভায় তুলে ধরবেন।
এছাড়া জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেও আজ সুর সপ্তমে চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ভোট আসলেই গ্যাসের দাম কিছু কমিয়ে দেয়। আর ভোট মিটে গেলেই সেটা আবার বাড়িয়ে দেবে। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে ভোট দেওয়ার আগে। একদিকে রাজ্য সরকার বিনা পয়সার চাল দিচ্ছে। আপরদিকে সেই চাল রান্না হচ্ছে হাজার টাকার গ্যাসে।’ মোদী সরকারকে এভাবেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।