বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসাধারণের উন্নতিকল্পে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী – এই প্রকল্পগুলি বড় অবদান রেখেছে ও ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। সামনেই লোকসভা ভোট। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলেছে, এ রাজ্যে বেড়েছে মহিলা ভোটারের সংখ্যা। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাজ্যের মহিলাদের উন্নতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের অন্ত নেই। তিনি সব সময়ই মহিলাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য যথেষ্ঠ কাজ করেন। তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যে কি না পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চাশ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করেছেন।” তৃণমূল সাংসদ এও দাবি করেছেন, লোকসভা থেকে বিধানসভা নির্বাচন, সর্বক্ষেত্রে দলে মহিলাদের প্রাধান্য বেশি থাকে”, জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসা করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একাধিক জনমুখী প্রকল্প বানিয়েছেন মমতা। সর্বসাধারণের পাশাপাশি মহিলাদের জন্যও প্রচুর প্রকল্প রয়েছে তাঁর। মহিলাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের শেষ তিনি। তৃণমূল নেতা বলেন, “বাংলার মহিলারা মমতাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেন না।” উল্লেখ্য, বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও তৃণমূল স্লোগান তুলেছিল, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।” নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখকেই বারবার সামনে রেখেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে মহিলা তৃণমূলের কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূল ভবনে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়েছে। দলনেত্রী থেকে সকলেই যেখানে কর্মসূচিতে গিয়েছেন। বারবার মহিলাদের উন্নতির কথাই জনসাধারণের কাছে তুলে ধরেছেন তাঁরা।