হিংসা শুরুর পর থেকেই মণিপুরে জারি রয়েছে ৩৫৫ অনুচ্ছেদ। রবিবার বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। আর তাতেই উস্কে গিয়েছে নয়া বিতর্ক। কেননা, সাধারণ মানুষ এব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। কাউকে না জানিয়ে কীভাবে বলবৎ করা যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রাথমিক ধাপ সংবিধানের ৩৫৫ অনুচ্ছেদ। বহিরাগতদের আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ সঙ্কট থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে এটি প্রয়োগের বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনীও মোতায়েন করতে পারে কেন্দ্র।
মণিপুরে হিংসার আগুন নিভছে না। এজন্য প্রবল চাপের মুখে পড়েছে রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার। এরই মধ্যে ৩৫৫ অনুচ্ছেদ মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন রাজ্যবাসীকে এব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল না? সেই প্রশ্নে বিরোধী বৈঠকে নতুন করে চাপে পড়েছেন বীরেন সিং। যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল, জেডিইউ, সিপিআইয়ের মতো ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই তাঁর দাবি। এক্সে বৈঠকের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে মেঘচন্দ্র সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন মণিপুরে ৩৫৫ অনুচ্ছেদ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষকে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে মুখ্যমন্ত্রী এত দেরিতে বিষয়টি জানালেন। কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই সমস্যা মেটাতে যে আন্তরিক নয়, এতে তা স্পষ্ট হচ্ছে। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী জনজাতি সংঘর্ষের ধ্বস্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। এখনও অবধি ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।