নিজেদের হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী বলে দাবি করা বিজেপির সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১ পয়সাও রাজ্যকে দেয় না। ছিঁটেফোঁটাও সাহায্য করে না। কিন্তু এবার সেই মেলাই পেয়ে গেল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দুমেলার খেতাব। যার নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মকরসংক্রান্তির গঙ্গাসাগর মেলায় এবার রেকর্ড ভিড়। সরকারি হিসাব বলছে, মকরসংক্রান্তির দিনে মেলায় ১ কোটির বেশি মানুষ আসার রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। এবছর মেলা শেষ হবে ১৭ তারিখ। অর্থাৎ হাতে আরও দুই দিন সময় আছে। তাই সব মিলিয়ে মেলায় আগত পুণ্যার্থীর সংখ্যা দেড় কোটির আশেপাশে থাকবে বলেই রাজ্য সরকার মনে করছে।
গঙ্গাসাগরের মেলার ইতিহাসে পুণ্যার্থী আগমনের হিসাবে এইবছর কার্যত সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে দিয়েছে। মেলায় এই প্রথম ১ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী আসার রেকর্ড যেমন হয়েছে তেমনি এই মেলা এবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা হিসাবেই উঠে এসেছে। যদিও কেন্দ্র সরকার এই মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিতে নারাজ। কার্যত সেখানেও কেন্দ্রের তরফে বাংলাকে বঞ্চনার রেকর্ড গড়ছে মোদী সরকার। গত কয়েকদিন কনকনে ঠান্ডায় কাবু গোটা সাগরদ্বীপ। মকরসংক্রান্তির দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু উত্তুরে হাওয়ার দাপট ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেও অবশ্য পুণ্যার্জনে আসা তীর্থযাত্রীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি।
ভিড়ের নিরিখে রেকর্ড গড়ার দিনই গঙ্গাসাগরকে কেন জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে গঙ্গাসাগর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দুমেলা হয়ে উঠেছে। মেলায় আসা সব পুণ্যার্থী একবাক্যে স্বীকার করেছেন মেলায় আসাযাওয়ার পথে এবং মেলার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যই মেলায় পুণ্যার্থীদের আগমন দেশি হয়েছে। সুবন্দোবস্তের জন্যই মানুষ বেশি করে মেলায় আসতে পেরেছেন। যার কৃতিত্ব মমতা সরকারেরই। কেন্দ্র এই মেলার আয়োজন নিয়ে রাজ্যকে বিন্দুমাত্র সাহায্য না করলেও রাজ্য সরকার এই মেলার আয়োজনের জন্য যেমন এই বছর ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে তেমনি মেলায় আসান প্রত্যেক পুণ্যার্থীর জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থাও করেছে।