ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। বারবার উঠেছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। ফের ফুটে উঠল সেই চিত্র। দুয়ারে লোভসভা নির্বাচন। ৩৫টি আসন জিততে হবে, এমনই ‘লক্ষ্য’ বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ। ২০১৯-এ সর্বভারতীয় সভাপতি থাকার সময়েই বঙ্গ বিজেপিকে ২২টি আসন জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন শাহ। তখন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আসন। এবার লক্ষ্যমাত্রা বেশি কিন্তু নির্বাচনী খরচ আগের বারের তুলনায় কমাচ্ছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে টাকার খামতি রাখেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুথপিছু মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রার্থী পিছু মোটা টাকা বরাদ্দ হয়। তবে সেই টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
উল্লেখ্য, বিজেপির একাংশ বারবার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্র থেকে আসা টাকা জেলার নেতারা সংগঠনের কাজে খরচ করেননি। অনেক বেশি খরচ দেখিয়ে সেই টাকা অনেকেই আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ পৌঁছয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, এমন অভিযোগ অন্যান্য জেলা থেকেও যায়। সেই কারণে এবার টাকা খরচে শীর্ষ নেতৃত্ব রাশ টানছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব, মহিলা, এসসি, এসটি মোর্চার সভাপতি সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা গাড়ির খরচ পেতেন। তাঁরা পেট্রল বা ডিজেল কেনার যে হিসেব পাঠাতেন, সেই পরিমাণ টাকা পাঠানো হতে। এখন জেলার মোর্চা নেতাদের গাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্য নেতাদেরও খরচের সঠিক হিসেব দেখাতে হচ্ছে। দলের এক নেতা বলেন, আগের নির্বাচনগুলিতে জেলার নেতারাই হিসেব দেখতেন। কোন খাতে কত টাকা পাঠাতে হবে, সেটা তাঁরাই ঠিক করতেন। সেইমতো কেন্দ্র থেকে টাকা চলে আসত। এবার জেলার খরচ খতিয়ে দেখবেন রাজ্য নেতারা। সংগঠনের জন্য পাঠানো টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না, সেটিও দেখবেন তাঁরা।