দোরগোড়ায় লোকসভার ভোট। তার আগে নোটবন্দী, জিএসটি, রাফাল, সিবিআই-সহ একাধিক ইস্যুতে বেজায় চাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোজই ধেয়ে বিরোধীদের তরফে নানা অভিযোগ ও সমালোচনার তির। তবে নিজের চাপ কমাবেন কীভাবে তা তাঁর জানা না থাকলেও, পরীক্ষার চাপ কমাতে এক অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের পরামর্শ দেবেন মোদী। শুধু তাই নয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য উপাচার্যদের কাছে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও নির্দেশই এ রাজ্যে মানা হবে না।
২৯ জানুয়ারি দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত চাপ কমানোর পরামর্শ দেবেন। ‘পরীক্ষা পে চর্চা ২.০’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য দু’টি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিদ্বন্দ্বীরা তালকাটোরা স্টেডিয়ামে মোদীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। ইউজিসি-র চিঠিতে ওই দুই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, তাঁদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে উপাচার্যদের। ইউজিসি-র সচিব রজনীশ জৈনের চিঠিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বলেন, ‘মোদীর ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য আমরা কোনও মতেই ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করতে দিতে পারব না। ওরা ভুলে যাচ্ছে যে শিক্ষা যুগ্ম তালিকাভুক্ত। স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে এমন ভাবে নির্দেশ দেওয়া যায় না।’ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যের কথা শোনার প্রয়োজন নেই তাঁদের। এর আগেও ইউজিসির বেশ কিছু নির্দেশের প্রবল বিরোধীতা করে, তা মানতে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। অন্য রাজ্যে সম্ভব হলেও বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে যে কেন্দ্রকে এভাবে ছড়ি ঘোরাতে দেবে না মমতা সরকার, তা হাবেভাবে আবারও বুঝিয়ে দিলেন পার্থ।