২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন। ১৫০টির বেশি বিভিন্ন মত-পন্থ সাধু সমাজকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশের সংখ্যালঘু সমাজের দুই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ মুসলিম বা খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা রামমন্দিরের উদ্বোধনে থাকছেন কি না, সেই ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মীয় ওই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মত ও পরম্পরার প্রায় দেড়শো জন প্রতিনিধির কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। আমন্ত্রণ গিয়েছে জৈন, বৌদ্ধ, শিখ সমাজের কাছে। আরএসএস সূত্রের মতে, যেহেতু এঁরা ভারতীয় মত ও পন্থের প্রতিনিধি, সেই কারণে এঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজনীতিকদের মতে, আরএসএস নীতিগত ভাবে বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন সমাজকে অভিন্ন ভারতীয় সমাজের অঙ্গ হিসেবে গণ্য করে থাকে। কারণ এই ধর্মগুলির শিকড় এক। পরে এরা মূল শাখা থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
আরএসএস মনে করে, ভারতের সংখ্যালঘু সমাজের একটি বড় অংশ মুসলিম বা খ্রিস্টান ধর্মালম্বী হলেও ওই ধর্মগুলি এ দেশে এসেছে বহিরাগতদের সঙ্গে। বহিরাগতদের ধর্ম হিসেবে। তাই আমন্ত্রিতদের যে তালিকা রয়েছে, তাতে কোথাও মুসলিম বা খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের নাম উল্লেখ নেই বলেই জানা গিয়েছে। ফলে ওই ধর্মের কোনও ধর্মগুরু আসবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। কোনও মুসলিম ধর্মগুরুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘রাম মন্দিরের যে মূল মামলাকারী, সেই ইকবাল আনসারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ একটি সূত্রের মতে, যদি মুসলিম বা খ্রিস্টান সমাজ থেকে ক্রীড়া, সাহিত্য, উদ্যোগপতি, অভিনেতা, পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত, সেনা সম্মানপ্রাপক হন তা হলে ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে তিনি আমন্ত্রণ পাবেন। পাশাপাশি বৃহত্তর হিন্দু সমাজের অঙ্গ হিসাবে দেশের দলিত, তফশিলি জাতি, আদিবাসী ও যাযাবর সমাজের নেতাদের আমন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ নীতিগত ভাবে এদের হিন্দু সমাজের অঙ্গ হিসেবেই দেখে গেরুয়া শিবির।