বুধবারই কংগ্রেস ঘোষণা করেছে আগামী ২২ তারিখ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না তারা। আর তারপর থেকেই হাত শিবিরের সদলবলে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে তোষণের রাজনীতি বলে বৃহস্পতিবার তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তারা।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্ট কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধী এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কংগ্রেসের বক্তব্য, ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান আসলে বিজেপি ও আরএসএসের কর্মসূচি। সেখানে কংগ্রেসের যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
লক্ষণীয় হল, কংগ্রেস উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেও রাম মন্দির নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। বরং ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামের জন্মস্থান বলে মেনে নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিলে কংগ্রেস সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখেনি গেরুয়া শিবির।
মোদী মন্ত্রিসভার ২ মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং প্রল্হাদ যোশীর বক্তব্য, এটা কংগ্রেসের তোষণ রাজনীতির আর এক নমুনা। প্রল্হাদ বলেন, ‘কংগ্রেস কখনও রাম মন্দির নির্মাণ আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। স্বভাবতই কংগ্রেসের মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের তোষণ রাজনীতি করেছে। আসলে কংগ্রেস বরাবর বলে এসেছে রামচন্দ্র একটি কাল্পনিক চরিত্র।’
অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগের বক্তব্য, এই কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর কংগ্রেস নয়, নেহেরুর কংগ্রেস। তাঁরই উত্তরসূরিরা রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জবাবে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য, কংগ্রেস কোনও দিন রাম বিরোধী নয়। রামকে আসলে কুক্ষিগত করেছে বিজেপি-আরএসএস।
অন্যদিকে, কর্ণাটকেরই প্রবীণ বিজেপি নেতা সিটি রবিও এই ইস্যুতে নিশানা করেছেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে। তিনি বলেন, ‘গুজরাতে সোমনাথ মন্দিরে কখনও যাননি নেহেরু। তিনি সোমনাথ মন্দির সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকী রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএম মুন্সি সোমনাথ মন্দির সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় নেহেরু আপত্তি করেন।’