চলতি বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তাই দেরি না করে ২০২৪-এর শুরুতেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তৈরি করে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু তাতে আসল পদটিই ফাঁকা! এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে, গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই কি কোনও নির্দিষ্ট একজনের নামে সিলমোহর দিতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি।
মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে দিনভর বৈঠক হয়েছে রাজ্য বিজেপির। সেখানেই আগে থেকে তৈরি করা নির্বাচন পরিচালন কমিটি ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, এবার সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন লড়ার জন্য কমিটির আয়তন বড় করা হয়েছে। মোট ১০১ জন সদস্য থাকছেন। তাঁদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে ৩৫টি বিভাগ। সেই সব বিভাগের প্রধানদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানদেরও ‘প্রধান’ কে হবেন তা জানা নেই। বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ নেতৃত্ব যে মুদ্রিত কমিটি তৈরি করেছেন, তার প্রথম কলমটিই ফাঁকা।
তালিকায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়ার নাম রয়েছে সবার ওপরে। এর পরে পাঁচ সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। মোট ১৩ জনের তালিকায় রয়েছেন দুই সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ। এর সঙ্গে একটি তালিকা করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজ্য নির্বাচন পরিচালন কমিটি’। আনুষ্ঠানিক ভাবে যে তালিকা এখনই প্রকাশ করা হবে না।
সেই তালিকায় প্রথম ঘরটি ফাঁকা রয়েছে। তার পরে অবশ্য প্রতিটি বিভাগ ধরে ধরে প্রমুখের নাম, পদ এবং ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। এখন যে তালিকা, তাতে সবার ওপরে নাম রয়েছে কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়ের। এর পরে প্রচার পরিকল্পনা থেকে বুথ স্তরে সংগঠন পরিকল্পনা বা বিস্তারক যোজনা-সহ বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই প্রণয় নির্বাচন কমিটির প্রধান নন। তিনি দফতর সামলালেও বিজেপির রীতি অনুযায়ী কমিটির মাথায় এক জন চেয়ারম্যান থাকেন। কিন্তু সেই পদটাই আপাতত শূন্য। এর কারণ নিয়ে প্রশ্নে প্রকাশ্যে কোনও উত্তর দিচ্ছেন না রাজ্য নেতারা।