নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বেনজির আক্রমণ করে বসলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন জমি নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বিবাদ শুরু হয়েছিল। তারপর অমর্ত্য সেনকে বিভিন্ন সময়ে লাগামছাড়া আক্রমণ করেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্য বদল হওয়ার পরেও জমি বিবাদ নিয়ে অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ অব্যাহত রইল। তবে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বেনজির আক্রমণ করলেন। আর তারপরেই প্রেস বিবৃতি জারি করে এই বক্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন সিউড়ি আদালতে জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তারপরেই সুচরিতা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “অমর্ত্য সেন মিথ্যাচার করছেন। উনি দেশের জন্য কিছুই করেননি। বিশ্বভারতীতেও একদিন ক্লাস করাননি। অথচ ভারত যার জন্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছে সেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিকে হাতাতে চাইছেন অমর্ত্য সেন।”
পাশাপাশি, তিনি আরও আক্রমণ করে বলেন, “অমর্ত্য সেন যদি মনে করেন গুরুদেবের জমি হাতিয়ে নেবেন তাহলে সেটা তার অসভ্যতার পরিচয়।” এরপরেই রবিবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি জারি করেন। তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য কোনও নির্দেশ জারি করেনি। আদালতের বাইরে কোনই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি, যা ঘটেছে তার কোনও দায় নিতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরেই আইনজীবীকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিশ্বভারতীর শিক্ষকদের সংগঠন। তাদের বক্তব্য, আগেই বিশ্বভারতীর আইনজীবী হিসেবে সুচরিতা বিশ্বাসকে সরানোর দাবি জানানো হয়েছিল। এখনও সেই দাবি জানানো হচ্ছে। যদিও আইনজীবী নিজের মন্তব্য থেকে সরে যাননি। এরকম বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদের সম্বন্ধে এরকম মন্তব্যের পরেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, একজন বড় মাপের ব্যক্তিত্বকে এইভাবে অপমান করা একেবারেই অনুচিত।