ডিপোজিটের হাল করুণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও মোদী সরকারের কারণে দরাজ হাতে ঋণ দিতে হচ্ছে তাদের। আর এর ফলে ক্রমশই চাপ বাড়ছে দেশের ব্যাঙ্কগুলির ওপর। যে চাপের বোঝা গিয়ে পড়ছে আম জনতার কাঁধে! কারণ চাপ লাঘব করতে ব্যাঙ্কগুলি গাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার বাড়াচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে রেপো রেট না বাড়লেও, মার্জিনাল কস্ট অব লেন্ডিং রেট বাড়িয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে গাড়ির ঋণ ও পার্সোনাল লোনে।
ডিসেম্বর পর্যন্ত স্টেট ব্যাঙ্কে গাড়ির ঋণে প্রাথমিক সুদের হার ছিল ন্যূনতম ৮.৬৫ শতাংশ। এখন বেড়ে হয়েছে ৮.৮৫ শতাংশ। আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক ব্যক্তিগত ঋণেও সুদের হার বাড়িয়েছে। চাপানো হয়েছে প্রসেসিং ফি-র বোঝা। ব্যাঙ্ক অব বরোদা তাদের গাড়ির ঋণে সুদের হার ০.১ শতাংশ বাড়িয়ে ৮.৮ শতাংশ করেছে। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও গাড়ি ও কয়েকটি ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার বাড়িয়েছে। নভেম্বরে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কে ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার ছিল ন্যূনতম ১০.৪৯ শতাংশ। এখন বেড়ে হয়েছে ১০.৭৫ শতাংশ। কর্ণাটক ব্যাঙ্কও ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার ১৪.২১ থেকে বাড়িয়ে ১৪.২৮ শতাংশ করেছে।