বাংলার মুকুটে যোগ হয়েছে একাধিক নতুন পালক। সুন্দরবনের মধুর জন্য জিআই স্বত্ব পেল এই রাজ্য। পাশাপাশি, বাংলার আরও চারটি সম্পদকে জিআই স্বত্ব দেওয়া হয়েছে। গরদ, কড়িয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ি এবং উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির সুগন্ধি কালোনুনিয়া চাল। কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালের স্টেটাসে রেজিস্টার্ড দেখা যাচ্ছে। সুতরাং শংসাপত্র পেতে চলেছে বাংলা। কেন্দ্রের জিআই কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে চিঠি দিয়ে এই সুখবর জানাবে। তবে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সুন্দরবনের মধু জিআই স্বত্ব ঠেকাতে পুণের একটি সংস্থা আবেদন করে ওই প্রাকৃতিক মধুর একচেটিয়া ব্যবসা করতে। কিন্তু বাংলা ওই তকমা অর্জন করার ফলে বন দফতরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম এই সাফল্যকে এখন গর্ব হিসাবে দেখছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের নেতৃত্বেই সুন্দরবনের মউলিরা ওই মধু সংগ্রহ করেন। এই মধু এখন বন উন্নয়ন নিগমের নানা কটেজ–সহ আলিপুর, গড়চুমুক, পুরুলিয়ার সুরুলিয়া মিনি জু, সুভাষ উদ্যান, সজনেখালির মহিলা স্বনির্ভর দলের বিপণি এবং প্রায় ৫০টি জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৩১শে আগস্ট সুন্দরবনের মধু প্রকাশিত হয় ভারত সরকারের জিআই জার্নালে।
পাশাপাশি, সুন্দরবনের মউলিরা প্রমাণ–সহ অভিযোগ জানান, রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের আওতায় থাকা পেটেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারে। তারপরই জিআই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ তুলে ধরা হয়। জিআই স্বত্ব প্রাপ্ত জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চালকে ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অফিসার বিপ্লব দাস বলেন, “কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে এই ধানের চাষ হয়। পরম্পরা মেনে কিছু চাষি এই ধান চাষ করেন। আমরা এই ধানের গুণমান বাড়াতে গবেষণা করছি। রাজ্য কৃষিদফতর জিআই পেতে পদক্ষেপ করেছে।” আর কড়িয়াল সিল্ক শাড়ি বিশ্ববিখ্যাত। টাঙ্গাইল ও গরদ শাড়িরও সুনাম রয়েছে বাংলা ছাড়িয়ে অন্যত্রও। কড়িয়াল শাড়ি জিআই পাচ্ছে শুনে সেখানকার তাঁত শিল্পীরা খুশি। এই নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে নিজের অনুভূতি লিখে পোস্ট করেছেন। “বাংলার তিনটি হ্যান্ডলুম শাড়ি নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, কড়িয়াল এবং গরদ মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের জি পণ্য হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে। আমি সকল শিল্পীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই দক্ষতা এবং পুরষ্কৃত হওয়ার জন্য। আমি তাঁদের জন্য গর্বিত। আমাদের অভিনন্দন রইল তাঁদের জন্য”, লিখেছেন মমতা।