উত্তর ভারত যদি কংগ্রেস মুক্ত হয় তাহলে দক্ষিণ ভারত এক কথায় বিজেপি মুক্ত হয়ে গিয়েছে। কাজেই লোকসভা ভোটে দক্ষিণ ভারত মোদী সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই কংগ্রেস ময়দানে নামার আগেই মোদী পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুতে।
কারণ উত্তর ভারত এক প্রকারে বিজেপির দাপট থাকলেও দক্ষিণ ভারতে কিন্তু কোনও ভাবে বিজেপি কায়দা করে উঠতে পারছে না। তামিলনাড়ু প্রথম থেকেই বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার তো কর্নাটকও ফিরিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। অন্ধ্রপ্রদেশও কার্যত বিজেপির পরিপন্থী। তেলেঙ্গানাতেও বিজেপি চেষ্টা করে কিছু করতে পারেনি।
তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদী প্রাণপাত করেই এক প্রকার প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু মোদী ম্যাজিক কাজ করেনি সেখানে। কংগ্রেসেই আস্থা রেখেছেন তেলেঙ্গানাবাসী। এবার আবার শোনা যাচ্ছে ওয়াইএস শর্মিলা কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। বেঙ্গালুকরুকে ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারপরেই এয়াইএস শর্মিলার কংগ্রেসে যোগদানের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেটা বাস্তবায়িত হলে অন্ধ্রপ্রদেশেও চাপ বাড়বে বিজেপির।
২০২৪-র লোকসভা ভোটে মূলত বিজেপি অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সামনে রেখে ময়দানে নামবে। আর এই ইস্যুর জোরেই উত্তরভারতের সিংহভাগ আসন নিজেদের দখলে আনবে গেরুয়া শিবির এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে কি সেই অযোধ্যা ইস্যু রাজনীতির ময়দানে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে? তা নিয়ে বিজেপিই দ্বিধায় রয়েছে।
দক্ষিণভারতে প্রথম থেকেই হয় প্রাদেশিক দল না হলে কংগ্রেস। এর মধ্যেই ক্ষমতার আদানপ্রদান চলেছে। কেরল থেকে তো কোনও ভাবেই বামেদের মুক্ত করা সম্ভব হবে না বিজেপির পক্ষ থেকে। তাহকে কোন ভিত্তিতে দক্ষিণভারতে প্রচার চালাতে চাইছে বিজেপি সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বিজেপি সম্প্রতি বিকাশ যাত্রা কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে দক্ষিণ ভারতে। সেই কর্মসূচিতে দক্ষিণভারতের একাধিক শহর গ্রামে ঘুরবেন বিজেপি কর্মীরা।