লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। পদ্ম বাহিনী স্লোগান তুলেছে ‘অব কি বার ৪০০ পার’। বাইরে এমন প্রচার চললেও অন্দরে অন্দরে রীতিমতো চিন্তিত বিজেপি। সংশয়েই রয়েছে দল। ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত আসন নিয়ে চিন্তা রয়েছে, পাশাপাশি গতবারের জেতা লোকসভা কেন্দ্র নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দিল্লির নেতারা রাজ্য শিবিরকে নিদান দিয়েছে, গতবার জেতা আসনগুলির উপর জোর দিতে হবে। কোনওভাবে জেতা আসন হারলে চলবে না। এই নিয়ে লাগাতার বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। বুথ স্তর থেকে মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিক জোর রয়েছে তো বিজেপির? গোবলয় নিয়ে গেরুয়া শিবির নিশ্চিন্ত হলেও। দক্ষিণ ভারত ও বাংলা নিয়ে বিজেপি সংশয়ে।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ আসন দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু একুশে তাল কাটে বিজেপি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলায় বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চালিয়েছিল বিজেপি। নিচুতলা মজবুত করার উদ্দেশ্য থাকলেও, কঙ্কালসার অবস্থা সামনে এসে গিয়েছে। বঙ্গের গেরুয়া নেতারা বলছেন, এখন বাংলার মাত্র ৪০ শতাংশ বুথে পার্টির সক্রিয় কর্মী রয়েছে। বাংলার ৬০ শতাংশ বুথে বিজেপির উপস্থিতি কার্যত ‘শূন্য’, তবে কীভাবে পেরোনো হবে ভোট বৈতরণী?
দিল্লি বিজেপির বক্তব্য, বাংলায় দুর্বল আসনের সংখ্যা ২৪। তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরের খবর, বাস্তব ছবি আরও করুন। কেন্দ্রীয় বিজেপি আজও মনে করে, উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু গত বিধানসভা ভোট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ছবিটা বদলে গিয়েছে। একুশের ভুল আর নয়! এবার বাস্তবের সাংগঠনিক রিপোর্ট হাতে চাইছেন শাহ, নাড্ডারা। পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে ফাটল পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। নিত্যদিন টানাপোড়েন চলছে। বিজেপির আদি শিবিরের নেতাদের দাবি, গত লোকসভায় বাংলায় ৫০ শতাংশের বেশি বুথে কর্মী ছিল। ২০২১ সালের পর থেকে বুথ কর্মীরা বসে গিয়েছেন। নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রভাব ফেলেছে সংগঠনে।