মোদী সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সারা দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন ট্রাক চালকরা। প্রসঙ্গত, পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তি এবং জরিমানার বিধান রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারর নতুন আইনে৷ এর বিরুদ্ধে বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাবের মতো জেলাগুলিতে অনেক জায়গায় রীতিমতো ধর্মঘট শুরু করেছেন ট্রাক চালকরা। ট্রাক চালকদের এই বিক্ষোভ শুরু হতেই পেট্রোল, ডিজেলের মতো জ্বালানি-সহ জরুরি পণ্যগুলির সরবরাহে টান পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে৷ আর সেই আশঙ্কাতেই দেশের অনেক জায়গাতেই পেট্রোল পাম্পে ভিড় করে আগে থেকে মোটরবাইক, গাড়িতে তেল ভরে রাখছেন বহু মানুষ৷ তাঁদের আশঙ্কা, ট্রাক ধর্মঘট চলতে থাকলে অথবা আরও বৃহত্তর আকারে ধর্মঘট শুরু হলে পেট্রোল, ডিজেলের জোগানও বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ আইপিসি-র বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই আইনেই কাউকে গাড়ি চাপা দিলে চালকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে৷
উল্লেখ্য, এরই প্রতিবাদে বিহার, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ট্রাক চালকরা৷ পশ্চিমবঙ্গেও এ দিন বারাসত, মুর্শিদাবাদের মতো বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ট্রাক চালকরা৷ নতুন এই আইনে গাড়ির দুর্ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত চালকের দশ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার সুযোগ রয়েছে৷ ট্রাক, ভাড়া গাড়ির চালকদের প্রশ্ন, এত বিপুল অঙ্কের জরিমানা তাঁরা দেবেন কীভাবে। দেশে যে ট্যাঙ্কারগুলিতে করে পাম্পে পাম্পে তেল সরবরাহ করা হয়, সেই ট্যাঙ্কারগুলিও এই বিক্ষোভে সামলি হয়েছে৷ আর এর জেরে অনেক ছোট শহরের পাম্পগুলিতেই জ্বালানির সঙ্কট শুরু হয়েছে৷ অন্যান্য বড় শহরগুলিতেও কয়েকদিনের মধ্যে এই জ্বালানির জোগানে একই ধরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷ মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের পেট্রোল পাম্প মালিকদের সংগঠন জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আজকের মধ্যেই শহরের পাম্পগুলি জ্বালানিশূন্য হয়ে পড়বে। একই ভাবে হিমাচল প্রদেশে ভাড়ার গাড়ির চালকরা ধর্মঘটে শামিল হওয়ায় বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক৷ যতক্ষণ ডিজেল থাকবে, ততক্ষণই স্কুল বাস চালানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্রে স্কুল বাস মালিকদের সংগঠন।