ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পৌষমাস। তবে বাংলা থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে শীতের আমেজ। অন্যান্য বছর ২৫শে ডিসেম্বর নাগাদ যেখানে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হয়, এবার সেসবের নামগন্ধ নেই। তবে কি বাংলায় এবছর আর ঠাণ্ডা পড়বে না? শীতের জন্য কি নতুন বছর অবধি অপেক্ষা করতে হবে? উঠছে প্রশ্ন। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এরফলে উত্তুরে হাওয়া বাংলায় ঢুকতে পারছে না। বাড়ছে তাপমাত্রাও। ফলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আর সেভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী রবিবার ৩১শে ডিসেম্বর। তার আগে চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার আর তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ২রা জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রার সামান্য পারদ পতন লক্ষ্য করা যেতে পারে। সেসময় একলাফে ২ ডিগ্রি অবধি কমতে পারে তাপমাত্রা।
পাশাপাশি, আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি বা তুষারপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কনকনে ঠান্ডাও পড়বে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। চলতি সপ্তাহে খুব বেশি ঠান্ডা পড়ার আশা নেই। পাশাপাশি বৃষ্টিরও কোনও পূর্বাভাস নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৮ ডিগ্রি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সকালে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লেই পরিষ্কার হবে আকাশ।