বড়দিনের আগে বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার স্মৃতি ফিরিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সুরনকোট মহকুমার দে-রা কি গালির কাছে সেনার গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। সংঘর্ষে শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। আহত ২। ভূস্বর্গে শান্তি ফিরেছে, জঙ্গিমুক্ত হয়েছে বলে কেন্দ্র দাবি করলেও বাস্তবে যে তা হয়নি তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পুঞ্চে সেনাবাহিনীর ওপর এই হামলার ঘটনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি যে রীতিমতো চিন্তার তা স্পষ্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের কথায়।
রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে সাম্প্রতিককালে একের পর এক জঙ্গি নাশকতা প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কর্নেল এস এস পাঠানিয়া বলেন, ‘খুবই দুশ্চিন্তার সময়। গত দুমাসে এই নিয়ে এখানে দুবার সন্ত্রাস চলল। গত দুবছরে এখানে ৩৫ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। কেন, হচ্ছেটা কী? কীসের গাফিলতিতে জঙ্গিরা এত সাহস পাচ্ছে?’ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) অনিল গৌরেও সন্ত্রাস ঠেকাতে অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রকের ব্যর্থতাকেই ইঙ্গিত করেছেন। পুলওয়ামার ধাঁচে সেনার উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান উপত্যকায় ফের জঙ্গি সংগঠন মজবুত করতে চাইছে বলে দাবি তাঁর। অনিলের কথায়, ‘সন্ত্রাসকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সেই ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট গাফিলতি আছে। কাশ্মীরের সীমান্তে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও তৎপর হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বত্র তাদের ঘাঁটি তৈরি করে সমস্তরকম নাশকতাকে দূর করতে হবে।’