লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুরুটা করছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। চলতি মাসের ২৮ তারিখ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় কর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন নেত্রী। ইতিমধ্যেই জেলায় বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারে গোটা দলকেই মাঠে নামাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়া, আবাস যোজনার টাকা বকেয়া-সহ বাংলার পাওনাগণ্ডা নিয়ে তৃণমূলের আন্দোলন চলছেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফের একদফা টাকা ছাড়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন। এর সঙ্গে রয়েছে বিরোধী সাংসদদের বহিষ্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন। বিজেপি সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সবমিলিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে আন্দোলনের ঢেউ তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস।
কোন পথে কীভাবে দল এগোবে, দলীয় কর্মসূচিতে- প্রচারে- সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ইস্যুগুলিকে তুলে ধরতে হবে তা বলবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেগঙ্গার কর্মী সম্মেলন থেকেই তার পথদিশা দেবেন তিনি। তবে জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে একটা রূপরেখা তৈরি করেছে দল। সেই অনুযায়ী জেলায় নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি সাংগঠনিক জেলায় করতে হবে মিছিল, পথসভা এবং জনসভা। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় কম করে ৩ থেকে ৪টি বড় কর্মসূচি করতে হবে। বড় সভা-মিছিলের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকাতেও কর্মসূচি রাখতে হবে। কোনও এলাকার মানুষ যেন বাদ না যান, সেইভাবেই সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে কর্মসূচি সাজাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী বলা হবে প্রচারে? প্রচারের অভিমুখে থাকবে সংসদে অন্যায়ভাবে গণ-সাসপেনশনের কথা। সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে হামলা চলল। আর তার জবাব প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না দিয়ে মৌন থাকবেন, কিংবা সংসদকে এড়িয়ে পেটোয়া সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন, এটা মানা যায় না। তাই প্রতিবাদ। প্রতিবাদ জানানোয় বেআইনি ও অনৈতিক পদক্ষেপ গণসাসপেনশন। তার প্রতিবাদ হবে বাংলা জুড়ে।