২০২৩ সালে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ৫১ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে তোলার পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। তবে সেই লক্ষ্য থেকে অনেকটাই দূরে থেকে যাবে সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছরের লক্ষ্য থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা কম ঢুকবে সরকারের পকেটে। যদিও এখনও চলতি অর্থবর্ষের সাড়ে তিন মাস বাকি। তবে এর মধ্যেও ৩০ হাজার কোটির ঘাটতি দেখা যাবে বিলগ্নীকরণের হিসেব খাতায়।
সরকারি মালিকানাধীন এনএমডিসি স্টিল এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে বেসরকারি খাতে তুলে দিয়ে এই অর্থবর্ষে ৫১ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে ভরার পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বিলগ্নীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না এই অর্থবর্ষে। এদিকে বিভিন্ন নির্বাচনের জেরে এনএমডিসি স্টিলের বিলগ্নীকরণও থমকে। এছাড়াও এবছর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের বিলগ্নীকরণেরও পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে সেটাও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে আপাতত হেলিকপ্টার পরিষেবা প্রদানকারী পবন হংসের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে সরকার।
তবে ছোটখাটো সংস্থার বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে সরকার এবছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যদিও নির্ধারিত লক্ষ্যের আর্ধেকেরও কম এই পরিমাণ। এদিকে শুধু এবছর নয়, বিগত পাঁচবছর ধরে টানা এই বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। তবে বিশেষ করে এবছরে বিলগ্নীকরণ বা বেসরকারিকরণ ধীর গতিতে চলছে রাজনৈতিক কারণে।