তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক তথ্য জানতে চেয়েছিলেন আম আদমি পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চে গড়িয়েছিল মামলা। কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব।
আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ মায়ীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানালেন কেজরিওয়াল। কেজরিওয়ালের হয়ে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং আউম কোতওয়াল। মামলাটি গ্রহণ করেছে আদালত। আগামী ১১ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ ব্যাপারে চলতি বছরের ৩১ মার্চ মামলাটি খারিজ করার পাশাপাশি আরটিআই আইনের অপব্যবহারের অভিযোগে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব।
আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, যে বিচারপতি বৈষ্ণব এভাবে তাঁর উপর জরিমানার নির্দেশ দিতে পারেন না। কারণ, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে কোনও আবেদন করেননি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে তিনি শুধুমাত্র প্রধান তথ্য কমিশনারকে (সিআইসি) একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রধান তথ্য কমিশনার স্বতঃপ্রণোদিত হয়েছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রির বিস্তারিত প্রকাশ করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন।