ফের ঘটনাবহুল হয়ে রইল সংসদ। আজ, বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল আরও তিন বিরোধী দলের সাংসদকে। স্পিকার ওম বিড়লা লোকসভায় অসংসদীয় আচরণের জন্য ওই সাংসদদের সাসপেন্ড করেছেন। এই নিয়ে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের মোট সংখ্যা বেড়ে হল ১৪৬। এর আগে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যেরা দিল্লীর রাস্তায় সরকার বিরোধী একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত হেঁটেছিলেন বিরোধীরা। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই তিন সাংসদকে সাসপেন্ড করার কথা জানান স্পিকার। বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ, দীপক বৈজ এবং নকুল নাথ। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বর্ষীয়ান নেতা তথা কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের ভাই। দীপক বৈজ হলেন ছত্তীসগঢ়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বস্তারের সাংসদ। এছাড়া, সাসপেন্ড সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া কেন্দ্রের সাংসদ নকুল নাথও।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই ডিসেম্বর সংসদ আচমকা হানার ঘটনার পর থেকে একের পর এক বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হচ্ছেন। লোকসভার নিরাপত্তায় গলদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ওই ঘটনা নিয়ে সভায় আলোচনার দাবিও তোলেন। তার জেরে লোকসভায় গোলমাল হয়। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে। স্পিকার তাঁদের সাসপেন্ড করেন। গত কয়েক দিনে পর পর সাসপেন্ডের ফলে লোকসভা প্রায় বিরোধীশূন্য হয়ে গিয়েছে। যাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে। এর মাঝে কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় বুধবার পাশ হয়ে গিয়েছে নতুন টেলিকম বিল। এই ঘটনার কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকার পক্ষ সংসদে বিরোধী কোনও সদস্যকে চায় না। তাই তাদের অনুুপস্থিতিতে বিল পাশ করানো হচ্ছে। একে ‘ক্রিকেট মাঠে কোনও ফিল্ডার ছাড়া ব্যাটিং করা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা।