এবার দেউচা পাঁচামিতে ব্যাসল্ট পাথর তোলার প্রাথমিক কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য। কয়েকদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে দরপত্র হাঁকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। উল্লেখ্য, ব্যাসল্ট হল একটি অতি কঠিন পাথর। তাতে লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। দেউচা পাঁচামি এলাকায় মাটির নীচে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার পুরু ব্যসল্ট পাথরের চাদর রয়েছে। তার নীচে রয়েছে কয়লা। অর্থাৎ কয়লার নাগাল পেতে হলে আগে ব্যাসল্টের চাদর সরাতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের জন্য সরকার মোট জমি চিহ্নিত করেছিল ১২.৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৪২০ একর জমি সরকার ব্যাসল্ট পাথর তোলার প্রস্তুত করে ফেলেছে। এই ৪২০ একরের মধ্যে ২০০ একর সরকারি খাস জমি এবং বাকি ২২০ একর জমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জমি। তবে ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জমির অধিকাংশ সরকার কিনে নিয়েছে। বাকি অংশের জমির মালিকের থেকে বিক্রি করার সম্মতিপত্র পেয়ে গেছে সরকার।
প্রথম ধাপে এই ৪২০ একর জমিতে ব্যাসল্ট পাথর তোলার কাজ শুরু করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাসল্ট রক বা ব্যাসল্ট পাথরের বাজারে চাহিদা প্রচুর। এই পাথর মূলত রাস্তা তৈরি, বাড়ি তৈরি, ব্রিজ তৈরিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৪২০ একর জমি থেকে প্রায় ১৪২ মিলিয়ন টন অর্থাৎ ১৪.২ কোটি টন ব্যাসল্ট পাথর পাওয়া যেতে পারে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।