রাম মন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ‘লৌহপুরুষ’। তাঁর রথযাত্রা কর্মসূচিতেই উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এর পরেই করসেবকদের আবেগের বিস্ফোরণ এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঐতিহাসিক ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ যেখানে গড়ে উঠেছে রামমন্দির। অথচ সেই এলকে আডবাণীই থাকছেন না অযোধ্যায় রামলালার মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। থাকছেন না রাম মন্দির আন্দোলনের আরেক নেতা মুরলী মনোহর যোশীও। নেপথ্যে কারণ কী?
রাম মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাইয়ের দাবি, ‘দুজনেই (আডবাণী এবং যোশী) বৃহত্তর গেরুয়া পরিবারের প্রবীণ সদস্য। তাঁদের বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করে উদ্বোধনে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁদের আবেদন শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে’। উল্লেখ্য, এলকে আডবাণী কিছুদিন আগেই ৯৬ বছরে পা দিয়েছেন। অন্যদিকে মুরলী মনোহর যোশীর বয়স ৯০ বছর। দুজনেই মোটের উপর সুস্থ হলেও বার্ধক্যজনিত কারণে আগামী ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের আগেভাগে মন্দির উদ্বোধনকে তুরুপের তাস করতে চাইছে বিজেপি। দেশজুড়ে রাম মন্দির কেন্দ্রীক একাধিক কর্মসূচির ব্যবস্থা হয়েছে। বলা বাহুল্য, যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছে সংঘ। সেখানে গত কয়েক বছরের মতোই মোদীই মুখ। প্রশ্ন উঠছে, মোদীর মহিমা বাড়াতে ইচ্ছাকৃতই কি আডবাণী, যোশীর মতো রাম মন্দির আন্দলোনের পুরোধাদের সরিয়ে রাখা হল? গেরুয়া শিবিরের কারও কারও দাবি, অপমানিক দুই নেতা নিজে থেকেই মন্দির থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে আগামী ২২ জানুয়ারি আডবাণী ও যোশীর অযোধ্যায় না থাকা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।