গত সপ্তাহেই নতুন সংসদ ভবন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আকস্মিক বিশৃঙ্খলায়। আজ, সোমবার সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। এরপর ছড়াল শোরগোল। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ মোট ৩৩ জন বিরোধী সাংসদকে অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের ৯ সাংসদ, রয়েছেন কংগ্রেস, ডিএমকে সাংসদরাও। সাসপেনশনের খবর শুনে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”যা চলছে তা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। আমি ভাগ্যবান যে এখন আর সাংসদ নই।” গত ১৩ই ডিসেম্বর লোকসভায় ঢুকে আচমকা গ্যাস হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। ইতিমধ্য ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লী পুলিশ। নিরাপত্তা বিঘ্নকারী এমন ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত চলছে। এদিন সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই নিরাপত্তা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিরোধীরা সরব হতেই হইহট্টগোল শুরু হয় দুই কক্ষে। সাসপেন্ড হন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়, অসিত মাল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “সংসদে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছি। উনি টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারেন আর সংসদ চলছে। এখানে কেন বলবেন না? আর এই দাবি করেছিলাম বলে তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হল। বিরোধী কণ্ঠ রোধের এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়।” এদিকে প্রায় একই সময়ে দিল্লীর বঙ্গভবনে সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই খবর পৌঁছয়। তা শুনে তিনি বলেন, “যা চলছে সংসদে, তা মোটেই কাঙ্খিত নয়। ভাগ্যবান যে আমি আর এখন সাংসদ নই।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে হাজির ছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদ। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এই বৈঠকে ছিলেন মহুয়া মৈত্রও। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই তিনি লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুরো দল।