জোহানেসবার্গে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত দুরমুশ করল ভারত। ২০০ বল বাকি থাকতেই এল জয়। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১১৬ রানে। আরশদীপ সিংহ ও আবেশ খানের পেস-দাপটের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জবাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শ্রেয়স আয়ারের উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিল ভারত। ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল তারা। এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিদের দাপটে শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার আরশদীপ এবং আবেশ নাজেহাল করলেন প্রোটিয়াবাহিনীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটার ক্রিজে টিকতে পারেননি। আরশদীপদের সুইং বুঝতে ব্যর্থ হন রিজা হেন্ড্রিক্সেরা। ৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার টোনি ডি জর্জি (২৮) এবং অধিনায়ক এডেন মার্করাম (১২) বড় জুটি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি তাঁরা। মার্করামেরা আউট হতে আবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আন।
১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন আরশদীপ। তাঁকে প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করানো হয়। সেই সময় ৪ উইকেট তুলে নেন আরশদীপ। পরের স্পেলে এসে আরও একটি উইকেট নেন তিনি। আবেশ প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করেন। তখন তিনিও ৪ উইকেট তুলে নেন। ৭৩ রানে ৮ উইকেট চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে অ্যান্ডিল ফেলুকায়ো ৪৯ বলে ৩৩ রান করে দলকে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করেন। ১০০ রানের গণ্ডি পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় তুলে নিল ভারত। ওপেনার রুতুরাজ (৫) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে কিছুটা চাপ তৈরি হয়। কিন্তু অন্য ওপেনার সাই সুদর্শন এবং তিন নম্বরে নেমে শ্রেয়স সেই চাপ কাটিয়ে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেন। অভিষেকেই নজর কাড়লেন বাঁহাতি ব্যাটার সুদর্শন। অপরাজিত থাকলেন ৪৩ বলে ৫৫ রানের সাবলীল ইনিংস খেলে। ৯টি চার দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংসটি। অর্ধশতরান করেন শ্রেয়সও। ম্যাচের শেষ লগ্নে অকারণে আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দেন তিনি। শ্রেয়সের ৪৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ১টি ছয়। শেষ পর্যন্ত সুদর্শনের সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন তিলক বর্মা (অপরাজিত ১)। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও বোলারই উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় আরশদীপ সিংহকে।