তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একটি খবরের লিঙ্ক পোস্ট করে বিবরণে লিখলেন ‘বুম!’। সঙ্গে আগুনের ইমোজি। সঙ্গে ১০০-য় ১০০ পাওয়ার একটি ইমোজিও
প্রথমটি বোমা ফাটানোর শব্দ। দ্বিতীয়টি আগুন ঝরানো ইমোজি। শেষ ইমোজিটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় কারও তারিফ বা কারও সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করতে। অভিষেক এই সব ক’টি ভাবনা ব্যক্ত করেছেন যাঁর প্রতি, তিনি সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি এস কে কউল। শুক্রবারই ছিল সুপ্রিম কোর্টে ওই বিচারপতির শেষ দিন। শেষ দিনে বিদায় সম্ভাষণে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অভিষেক তেমনই একটি মন্তব্য শেয়ার করে কিছুটা প্রশংসামূলক এই পোস্ট করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডলে।
কী বলেছেন বিদায়ী বিচারপতি? নিজের শেষ কাজের দিনের অন্তে এসে যখন তাঁর জন্য আয়োজিত ফেয়ারওয়েলে ভিড় করেছেন সহকর্মীরা, সবাই তাঁর কাজের প্রশংসায় ব্যস্ত, স্বয়ং দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলছেন, ‘বিচারপতি কউল আপনি বুঝতে পারছেন, আপনাকে সবাই কতটা ভালবাসে! আপনার কর্মজীবনের শেষ দিনে যোগ দিতে বার কাউন্সিলের সদস্যরা শুধু দিল্লি নয়, দিল্লির বাইরে থেকেও এখানে এসে পৌঁছেছেন।’ তখন বিচারপতি কউল বললেন, ‘আমরা যাঁরা সংবিধানকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখি, তাঁদের সেই ক্ষমতার প্রয়োগ বা প্রদর্শন করতেও পিছপা হওয়া উচিত নয়। কারণ, আমরা যদি সেটা করতে না পারি তবে আমরা প্রশাসনের অন্যান্য বিভাগের কাছেও এটা আশা করতে পারি না।’
বিচারপতির এই মন্তব্যটিই নিজের এক্স হ্যান্ডলে বোমা ফাটানোর শব্দ-সহযোগে শেয়ার করছেন অভিষেক। কেন বোমা ফাটানোর শব্দ? অভিষেক ঘনিষ্ঠেরা মনে করছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ওই বিচারপতি সামগ্রিক বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অভিষেকও সেই একই কথা বলতে চেয়েছেন, বিচারপতিরা যাতে কারও প্রতি একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রায় না দেন বা পর্যবেক্ষণ না করেন।’