গত বুধবার শীতকালীন অধিবেশনের জিরো আওয়ার চলাকালীন হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নতুন সংসদ ভবন। গ্যালারি থেকে আচমকা লোকসভায় লাফ দিয়ে পড়েন দুই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণ। তাঁদের হাতে ধরা টিনের কৌটা থেকে বের হয় হলুদ রঙের ধোঁয়া। সেই ধোঁয়ায় ভরে যায় লোকসভা। তাঁদের মুখে স্লোগান, ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ (স্বৈরতন্ত্র চলবে না)। স্বাভাবিকভাবেই হতবাক সবাই। সঙ্গে সঙ্গে মুলতবি করে দেওয়া হয় সভার কাজ। সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় এত বড় ত্রুটির পরে আততায়ীদের পাশাপাশি আঙুল উঠছে বিজেপি সাংসদের দিকেও। প্রতাপ সিমহার দেওয়া সুপারিশপত্র নিয়েই সংসদে ঢুকেছিল দুই আততায়ী। এবার সংসদের এহেন হামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে নিশানা করল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারের বাসিন্দা। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদকে একহাত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
প্রসঙ্গত, এদিন পদ্মশিবিরকে বিঁধে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘বিজেপি সাংসদের দু’জন অতিথি সংসদের লোকসভা কক্ষে স্প্রে-বোমা ফাটালেন। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্ৰতিমন্ত্রীরা অসহায়ের মতো তা দেখলেন। এটা ভারতবর্ষের ইতিহাসে লজ্জার আর কালো দিন। জাতীয় সুরক্ষার নামে যদি এক জন সাংসদকে তড়িঘড়ি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা হলে সংসদের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রকের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পাস দেওয়া সাংসদকে কেন বহিষ্কার করা হবে না?’’ একই প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। ‘‘দেশের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা রক্ষা করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের। এ ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে’’, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।