বসুন্ধরা রাজেকে এক প্রকার ছেঁটে ফেলেছে বিজেপি। ফলে মোদীর বিজেপিতে মহিলা মুখ আর রইল না। দেশে ‘একা কুম্ভ’ হয়ে রইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এখন ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে যে জয় বিজেপি পেয়েছে, তাতে কোনও একটি রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী করার ঝুঁকি নিতে পারত তারা। কিন্তু জাতপাতের অঙ্ক কষে তিন রাজ্যে অন্যান্য অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণির মোহন যাদব, আদিবাসী বিষ্ণুদেও সাই এবং ব্রাহ্মণ ভজনলাল শর্মাকে বেছে নিয়েছে বিজেপি।
দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা অন্যতম দাবিদার হলেও তাঁকে ‘অস্তাচলে’ যেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে। বসুন্ধরা দলের পিছনের সারিতে চলে যাওয়ায় এ বার বিজেপিতে ‘মহিলা মুখ’ বলতে প্রায় কেউই রইলেন না। এই মুহূর্তে দেশের ১২টি রাজ্যে একক ভাবে এবং পাঁচটিতে জোট গড়ে ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু সেই ১৭ রাজ্যের কোথাও নেই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। দলের সংগঠনেও প্রথম সারিতে কোনও চেনা মহিলা মুখ নেই।
এ নিয়ে বাংলার শাসক তৃণমূল বরাবরই বিজেপিকে দুষে এসেছে। গেরুয়া শিবিরকে বিভিন্ন সময়ে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে আক্রমণও করেছেন তৃণমূল নেতারা।
তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, ‘বিজেপিতে মহিলা মুখ নেই, এ কথা আমি কী করে বলি? এই রাজ্যেই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরীরা কি মহিলা মুখ নন? আর মোদীজি মহিলাদের কথা যতটা ভেবেছেন ততটা কেউ কখনও ভাবেননি। এত মহিলা মন্ত্রী কোনও আমলেই কেন্দ্রে ছিলেন না।’