একেই রয়েছে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের ভ্রূকুটি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক দুর্দশা এখনও ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। তার পাশাপাশিই দেখা দিয়েছে নতুন বিড়ম্বনা। চব্বিশের ভোটে বাংলার ৪২ কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মুখ’ করেই প্রচারের ময়দানে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সমস্যায় তারা। আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজ্য বিজেপিকে প্রচারের ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই দলীয় নির্দেশেই ঘোর বিপাকে বঙ্গ পদ্মশিবির। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুকান্ত-শুভেন্দু- দিলীপকে মুখ করেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রাজ্যজুড়ে ঝাঁপিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সেই তিন ‘মুখ’-এর মধ্যে দুই মুখ সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ বর্তমানে সাংসদ। বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ দিলীপ সুকান্তকেও নিজের এলাকায় বেশি সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এতেই লোকসভা ভোটে প্রচারের মুখ নিয়ে চাপে বঙ্গ বিজেপি।
উল্লেখ্য, সুকান্ত-দিলীপ যেহেতু সাংসদ, তাই প্রশ্ন উঠছে, লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি সর্বক্ষণ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের প্রচারের নতুন মুখ কারা হবেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ‘‘একদিকে ঘরোয়া কোন্দল, আদি-নব্য দ্বন্দ্বে নাজেহাল বঙ্গ বিজেপির কাছে বিড়ম্বনা সত্যিই মাথা ব্যথার কারণ। যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রচারের ‘মুখ’ কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমাদের অনেক মুখ আছে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কথায় ,তাদের ভরসা ও আস্থা নরেন্দ্র মোদী। মোদিই তাঁদের সব কেন্দ্রের প্রার্থী। এবারের লোকসভা ভোটে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার ভোট।’’ দিলীপ ঘোষ কিংবা সুকান্ত মজুমদার এবারও প্রার্থী হবেন বলেই ঠিক রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলীয় নির্দেশ মেনে যদি নিজের নিজের কেন্দ্রে তাঁদের বেশি সময় দিতে হয়, তাহলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে কিভাবে প্রচারে সময় দেবেন তাঁরা? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। স্বাভাবিকভাবেই যা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে নেতৃত্বের।