ফের বড়সড় বিতর্কে জড়াল মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৪ সালে ‘জনধন অ্যাকাউন্ট’ স্কিম চালু করেছিল কেন্দ্র। এই প্রকল্পটি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ১০ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্ট নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! এই আবহে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাড। গতকাল সেই চিঠিরই একটি প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের পুরনো দাবি নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন জহর সরকার। “কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক মেনে নিয়েছে যে ৫১ কোটি জনধন অ্যাকাউন্টের মধ্যে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি অ্যাকাউন্টই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তাতে কোনও লেনদেন হয় না। মন্ত্রী মেনে নিচ্ছেন যে সরকারের ১১,৫০০ কোটি টাকা অব্যবহৃত ভাবে ব্যাঙ্কে পড়ে আছে। যদিও মানুষের পকেটে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য এসেছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার”, নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৮শে আগস্ট চালু করা হয়েছিল জনধন অ্যাকাউন্ট স্কিম। প্রত্যন্ত এলাকাতে গরিবদের কাছেও ব্যাঙ্কির পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই প্রকল্পের সূচনা। বর্তমানে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তবে এর মধ্যে প্রায় ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট অকেজো বলে অভিযোগ উঠেছে। জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, সুরক্ষা বিমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা বা মুদ্রা যোজনার মতো কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের ভর্তুকি উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে এই জনধন অ্যাকাউন্টের ব্যবহার করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে দেশে এত সংখ্যক বন্ধ জনধন অ্যাকাউন্টের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুর্নীতির দিকেই ইঙ্গিত করছেন জহর সরকার। পাশাপাশি, চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও অ্যাকাউন্টে টানা দু’বছর লেনদেন না হলে সেটিকে বন্ধ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অবশ্য, এরপরে চাইলে সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত কেওয়াইসি যাচাই করিয়ে সেটিকে ফের চালু করা যায়। এবং তা করতে কোনও বাড়তি খরচও লাগে না। এই আবহে সমস্ত বন্ধ জনধন অ্যাকাউন্ট ফের সচল করার নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যাঙ্কগুলিকে।