একে তো কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু চাষে ব্যবহৃত সার সরবরাহ না করে বাংলার আলু চাষকে ক্রমশই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল অকাল বৃষ্টি। যার ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন রাজ্যের আলু ও ধান চাষিরা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার নবান্নে বৈঠকে বসলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অকাল বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গে ধান ও আলু চাষের সম্ভাব্য ক্ষতি ও তার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ওই বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দফতরের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা ও ভার্চুয়ালি ছিলেন জেলার উপকৃষি অধিকর্তারাও।
আলু চাষের জন্য বিখ্যাত হুগলি জেলা। হুগলিতে এখন ভরা রবি মরশুম। মাঠে আলু চাষের সময়। জেলায় এবার ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছে। খরিফের ধান তুলে আলু বসানোর কাজ চলছে সিঙ্গুর, হরিপাল, পোলবা-দাদপুর, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি সহ বিভিন্ন ব্লকে। কারণ ডিসেম্বরের শুকনো মাটি, রৌদ্রোজ্বল আকাশ আলু চাষের জন্য আদর্শ। কনকনে ঠান্ডায় গাছ বড় হয় আর মাটির তলায় আলু বাড়তে থাকে। তবে এই সময় বৃষ্টি হলে আলু চাষে ক্ষতি হয়। এদিকে, মিগজাউমের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই মেঘলা আকাশ ছিল রাজ্যে। পাশাপাশি ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে চলে একটানা বৃষ্টি। ফলে আলু চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে।