ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে নিজের সাংসদ পোর্টালের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া এবং সংসদে প্রশ্ন করার বদলে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর।
এদিকে এই আলোচনার সময়ই জেডিইউ সাংসদ গিরিধারী যাদব দাবি করেন, সংসদের অধিকাংশ সদস্যই নাকি নিজে থেকে প্রশ্ন পোস্ট করেন না। তিনি এও দাবি করেন, তিনি নিজে কম্পিউটার চালাতে পারেন না। তাই প্রশ্ন তৈরি করে নিজের পর্সোনাল অ্যাসিস্টেন্টকে দেন। তাঁর কাছেই সাংসদের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড আছে। আর তাঁর আপ্তসহয়াকই সাংসদের হয়ে প্রশ্ন পোস্ট করে দেন। আর জেডিইউ সাংসদের এই ‘বেফাঁস স্বীকারোক্তি’ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা নিজে।
বিহারের বাঁকা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ গিরিধারী যাদব গতকাল লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিজেপি বলছে দুই ঘণ্টায় পুরো রিপোর্ট (মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট) পড়ে ফেলেছে। আমরাও তো শিক্ষিত। আমি তো দুই ঘণ্টায় পড়ে শেষ করতে পারিনি এই রিপোর্ট। আর সত্যি বলতে সংসদের অধিকাংশ সদস্যই অন্য কাউকে দিয়ে প্রশ্ন পোস্ট করান। আমি তো কম্পিউটারই চালাতে পারি না। এই বুড়ো বয়সে এসে কী এসব শেখা যায়! আমি আমার লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্টকে দিয়ে রেখেছি। আমি নিজে প্রশ্ন করি না। সে আমার হয়ে পোস্ট করে দেয়।’ সাংসদের এহেন ‘স্বীকারোক্তি’র পরই রেগে যান স্পিকার ওম বিড়লা।
গিরিধারীর বক্তব্যের জবাবে ওম বিড়লা বলেন, ‘আপনি অন রেকর্ড যা সব কথা বলেছেন, তাতে আপনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। সব সাংসদদের নিজেদেরই প্রশ্ন পোস্ট করতে হবে। আমি এই সভার সভাপতি হিসেবে সংসদের মর্যাদা খর্ব হতে দিতে পারি না।’ পরে জেডিইউ সাংসদের সমর্থনে কথা বলতে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর যুক্তিও শোনেননি ওম বিড়লা। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে।