রবিবারই ফল প্রকাশ হয়েছে ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যে রাজস্থানে কংগ্রেসকে পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। তবে মরুরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে গিয়ে এখন প্রবল চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সোমবার প্রত্যাশীর তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। এখন দলেরই বিভিন্ন অংশ থেকে আরও চার জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, সাতজনের মধ্যে থেকে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে কালঘাম ছুটছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে, এই সাতজনের কেউই যদি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি না পান, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন কারও নাম হয়তো শেষে শোনা যাবে, যাঁকে কেউ আলোচনার মধ্যেই রাখেনি। এর আগে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ এবং ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় এমনটা দেখা গিয়েছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন আলোয়াড়ের সাংসদ, যাঁকে এবার বিধানসভায় প্রার্থী করেছিল বিজেপি, সেই ধর্মগুরু মোহন্ত বালকনাথ। তিনি যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের পর তিনিই দ্বিতীয় ধর্মীয় নেতা, যিনি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উঠে আসছে জয়পুরের রাজকুমারী দিয়া কুমারীর নামও। বসুন্ধরা রাজের পরিবর্তে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন অনেকেই। মরু রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে অন্যতম নাম হতে পারে বসুন্ধরা রাজে। ২০০৩ সাল থেকে বসুন্ধরাই রাজস্থানে বিজেপির মুখ ছিলেন। তালিকায় অন্য চারজনের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘাওয়াল, প্রবীণ বিজেপি নেতা কিরোদি লাল মিনা, রাজস্থান বিজেপির সভাপতি সিপি যোশীর নাম। এই চার নেতাই বিধানসভা নির্বাচনের ভোটে অশোক গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।