রবিবার প্রকাশিত হয়েছে দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। কার্যত ভরাডুবি ঘটেছে কংগ্রেসের। ৪ রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তারা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এটা মানুষের নয়, কংগ্রেসের পরাজয়।” ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাাগি না হওয়ার সুবিধা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে সকলে জোট বেঁধে লড়াই করলে, আসন ভাগাভাগি হলে বিজেপি লোকসভায় জিততে পারবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী মমতা। তিনি বলেন, “ভুল পলিসির জন্য হেরেছে। একটা পার্টি ছটা আসন চেয়েছে। তাদের অন্তত তিনটে আসন দিতে পারে দিতে পারতো তাহলে অন্তত এই সমস্যা হতো না। আসন ভাগাভাগি না হওয়ার জন্য অন্তত ৭০টা আসনে জিতেছে বিজেপি।”
পাশাপাশি, হারের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও জানিয়েছেন, “একটা নির্বাচনে জিতে অনেকে বড় বড় কথা বলছে। আমি একটু রেজাল্টটা দেখছিলাম। নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছি ৩৯ শতাংশ এবং ওরা পেয়েছে ৪২ শতাংশ। এরমধ্যে ১২ শতাংশ ভোট কেটেছে কংগ্রেস জোটের শরিকরা।” নাম না করে কংগ্রেসের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর খোঁচা, “শুধু ক্যাম্পেইন করলে হয় না। বিজ্ঞাপন দিলে হয় না। আদর্শের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি দরকার। তার জন্য ফিল্ডে কাজ করতে হবে।” তাহলে কি লোকসভা ভোটেও ছুটবে বিজেপির জয়রথ? সে কথা মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “উদাহরণ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমি এখনও মনে করি সিট শেয়ার করলে বিজেপি জিতবে না। ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে কাজ করবে।” এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। “কেউ জিতেছে আমার শুভেচ্ছা থাকবে। কিন্তু গণতন্ত্র দূষিত হল। এটা ইলেকশন কোথায় হল? এটা তো এজেন্সি পলিউশন। সব এজেন্সি ওদের হয়ে কাজ করে। বিজেপির এই জয় আসলে ভোট কাটাকাটির জয়। এর মানে এই নয় যে দারুন ফাটাফাটি রেজাল্ট হয়েছে। কিছু ছোট-ছোট পার্টির ভুল পলিসির জন্য এটা হয়েছে”, বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।