শেষবেলায় খানিক দুঃখ ও হতাশার আবহ ছড়িয়ে পড়ল বোলপুরে। সময়ের অভাব ও পরিকাঠামোর সমস্যায় শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এ বছর করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে আশার আলো দেখেছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটক-সহ বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। সোমবার দীর্ঘ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় এবারও শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না পৌষমেলা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ পৌষ উৎসব পালন করবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ হয়েছিল। বিশ্বভারতী থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিদায় নেওয়ার পরই ২০১৯ সালের পর এবছর পৌষমেলার আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়। তবে সময়ের অভাবটিও বিবেচনার মধ্যে ছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বৈঠকে মেলা করার পক্ষেই সদর্থক ছিল দুই পক্ষ। তবে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি সেরে আদৌ মেলা করা সম্ভব কি না, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও চিন্তায় ছিল। শেষপর্যন্ত দেখা গেল সেই সময় অভাব এবং পরিকাঠামোর সমস্যায় এবছরও থমকে গেল মেলা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ ঘনীভূত হয়েছে স্থানীয়দের মনে।