একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি। ছত্তিশগড়, রাজস্থানও হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। মধ্য়প্রদেশেও ভরাডুবি কংগ্রেসের। তার মধ্য়েই কেবলমাত্র তেলাঙ্গানায় জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এদিকে ফলাফল বের হওয়ার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কার্যত ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটকে আঁকড়ে ধরার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। হতাশ কর্মীদের ভোকাল টনিকও দিয়েছেন তিনি।
অন্য়দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি এটা বিজেপির জন নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। আর ঠিক এই জায়গাতেই এবার ইন্ডিয়া জোটের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পরে কার্যত গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান মুখ হিসাবে কংগ্রেসকেই মনে নিয়েছিলেন বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোটের মিটিংয়েও দেখা গিয়েছিল কার্যত কংগ্রেসই যেন প্রথম সারিতে। কিন্তু সেই সুখের দিন আর রইল না। অনেকের মতে, এদিনের ফলাফলের জেরে কার্যত জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের প্রভাব আরও বাড়তে পারে। মানে এককথায় হারল কংগ্রেস, লাভ হল তৃণমূলের।
ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নাকি রাহুল গান্ধী কার হাতে থাকবে তা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে এতদিন। তবে এদিনের ফলাফলের পর জোট সঙ্গীরা আদৌ হেরো পার্টি কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নেবে কি না তা নিয়ে সংশয়টা আরও জোরালো হল। কারণ পরপর দুটি রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার পর কংগ্রেসের উপর কতটা ভরসা রাখতে পারবে জোটসঙ্গীরা সেই প্রশ্নও উঠছে। তার সঙ্গেই প্রশ্ন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্ব কি আদৌ মানবেন শরিক দলের নেতৃত্ব?
কুণাল জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দেখিয়ে দিয়েছেন যে বিজেপিকে হারানো যায়। নিজের জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা মডেল। একাধারে উন্নয়ন দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। রাজনৈতিকভাবে যে বিজেপিকে হারানো যায় সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। মমতাই মডেল। ওই রাজ্যগুলির সবাই বুঝতে পারছে ওই সামাজিক স্কিম মমতার। কিন্তু কংগ্রেস তাদের গড় ধরে রাখতে পারছে না। এটা মানতে হবে।’