প্রবল বিতর্কের কেন্দ্রে ইউজিসির নতুন নির্দেশিকা। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে শিক্ষামহলে। ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবিরও। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছে তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন মোদীকে কটাক্ষ করে বলছেন, “আমাদের দেশে পিএম মানে প্রধানমন্ত্রী নয়, ফটো মন্ত্রী।” সম্প্রতি ইউজিসি’র তরফে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কাছে নির্দেশ এসেছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি বিশেষ সেলফি পয়েন্ট গড়ে তুলতে হবে। সেই সেলফি জোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নানা সময়ের, নানা ভঙ্গির ছবি, কাট আউট থাকবে। তাঁর সামনে গিয়ে সেলফি তুলবেন পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা। এই সেলফি পয়েন্টের সঙ্গে শিক্ষার কোনও যোগ সে অর্থে নেই। একেবারে অন্য একটি বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান আয়োগ, অর্থাৎ ইউজিসি। সেলফি জোনের ব্যাকড্রপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নানা সময়ের, নানা ভঙ্গির ছবি, কাট আউট থাকবে।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলন, চাঁদে অভিযান ইত্যাদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখার কথা বলা হয়েছে। আর তার সামনে দাঁড়িয়েই সেলফি তুলবেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক কিংবা অন্যান্য অতিথিরা। সেলফি তোলার জন্য তাঁদের উৎসাহ দেওয়ার কথাও কর্তৃপক্ষকে মনে করিয়ে দিয়েছে ইউজিসি। প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মনীশ যোশী। ইউজিসি বলছে, ভারতের অভূতপূর্ব উন্নতির সঙ্গে তরুণ সমাজ, বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনকে যুক্ত করতে এই সিদ্ধান্ত। যদিও শিক্ষাজগতের অভ্যন্তরে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। অনেকের বক্তব্য, আসলে লোকসভা ভোটের আগে এইভাবেই ঘুরিয়ে মোদী আমলের সাফল্যের প্রচার করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আর তাই যুবসমাজকে নিশানা করতেই এহেন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। “পিএম মানে ফটো মন্ত্রী। মাননীয় নরেন্দ্র মোদী, আপনি কি জানেন? ইউজিসি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি করে সেলফি পয়েন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে, আপনার ছবি দিয়ে”, সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ ডেরেক ও ব্রায়েনের।