২০২০ সালে তাঁর হাতেই হয়েছিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। আর চলতি বছরের মে মাসে দিল্লিতে সেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৬৫ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি বিশালাকার এই চারতলা সংসদ ভবন সহ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ছিল জনমানসে। কিন্তু একাধিক আরটিআই সত্ত্বেও কিছুতেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না মোদী সরকার।
আরটিআই আইন, অর্থাৎ রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী সাধারণ মানুষের জানার অধিকার রয়েছে সরকারি সম্পত্তি নির্মাণে কত খরচ হয়েছে। সেই উত্তর দিতে বাধ্য সরকারও। কিন্তু এ বিষয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, তাঁদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সেই অভিযোগ আরও বড় হয়ে উঠতে চলেছে বলে খবর।
জানা গেছে, মুম্বই নিবাসী বাঙালি মনোরঞ্জন রায় নতুন সংসদ ভবন সহ সমগ্র সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নির্মাণের খরচ জানতে চেয়ে আরটিআই আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। শুধু ভবন তৈরির খরচই নয়, ভবনের মেঝেতে লাগানো মার্বেল পাথর, চেয়ার টেবিল, মাইক্রোফোন, ফুলদানি, পর্দা থেকে শুরু করে জনসাধারণের করের টাকায় তৈরি সমস্ত জিনিসের খরচের ইনভয়েস চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাস ঘুরে গেলেও এর উত্তর পাননি তিনি।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কিংবা সিপিডব্লিউডি, এক দফতর থেকে অন্য দফতরে আরটিআই-এর চিঠি ঘুরেই চলেছে, কিন্তু আসল উত্তর মিলছে না। সে ব্যাপারে টালবাহানা বজায় রেখেছে লোকসভার সচিবালয়। এই ইস্যুতে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকার পক্ষকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করছি বিরোধীরা। কিন্তু সূত্রের খবর, মোদী সরকার এবারেও সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েই যাবে।