গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নেমে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। টানা ১৭ দিনের প্রচেষ্টার পর অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চারধাম প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এই সিল্কিয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনা এই প্রথম বার নয়। অতীতেও একাধিক বার এই ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছর ধরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চলাকালীনই তা ছোট থেকে মাঝারি মাপের ধসের সম্মুখীন হয়েছিল। শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল হাইওয়েজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) আধিকারিক মণীশ খালখো সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, যে এলাকায় ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানকার জিওলজি বা ভূতত্ত্বই এহেন ধসের জন্য দায়ী। আর এই ধসগুলিকে গহ্বর বলেও অভিহিত করা হয়। যা সিল্কিয়ারা এবং সুড়ঙ্গের শেষ ভাগ বরকোট– উভয় জায়গাতেই দেখা গিয়েছে। তবে সিল্কিয়ারার তুলনায় বরকোটের দিকেই বেশি ধস হয়েছে।