৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুঝিয়ে দিলেন, আগামী লোকসভা ভোট হবে শুধু তাঁর নামে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যকে দেখানো হবে ‘মোদী সরকার’-এর সাফল্য হিসেবে। প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে মোদী নাম জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে।
বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলির বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি বা নানা সামাজিক প্রকল্প বিজেপিকে বেগ দিয়েছে। সম্প্রতি কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কাছে বিজেপিকে হার মানতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাকিদের থেকে যেখানে আশা শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই ‘মোদীর গ্যারান্টি’ শুরু হয়। রাহুল, নীতীশ, অখিলেশরা জাতগণনার পক্ষে ‘সামাজিক ন্যায়’-এর দাবি তুলছেন। তাঁদের যুক্তি, ওবিসি-দের জনসংখ্যায় ভাগ অনুযায়ী সংরক্ষণ দিতে হবে। মোদীর দাবি, মানুষের প্রয়োজন চিহ্নিত করে তাঁদের অধিকার পাইয়ে দেওয়াটাই আসল সামাজিক ন্যায়। তাঁর সরকারের সেটাই লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানায় ভোটগ্রহণের মাধ্যমে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ইতি পড়েছে। এ বার
রবিবার ফলের অপেক্ষা। তেলঙ্গানায় যখন ভোটগ্রহণ চলেছে, তখন প্রধানমন্ত্রী একের পর এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছেন। প্রথমে ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ অভিযান, তার পর জন ঔষধি কেন্দ্র, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোন দেওয়া, শেষে রোজগার মেলায় ৫১ হাজার সরকারি নিয়োগপত্র বিলি। মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারে ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রচারের রথ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারি কর্মসূচি হলেও রথের গায়ে লেখা থাকছে ‘মোদী সরকার’। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকারের নাম কি খাতায়-কলমে মোদী সরকার হয়ে গিয়েছে?
যদিও মোদী এ সবের তোয়াক্কা না করে বড়াই করে বলেছেন, এই রথকে মানুষই মোদীর রথ বলছে। যাঁরা সরকারি প্রকল্প থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের খুঁজতেই মোদী বেরিয়েছে। যাতে আগামী পাঁচ বছরে তাঁদের জন্যও কাজ করা যায়। ‘মোদীর গ্যারান্টি’-র গাড়ি ৩০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। জন ঔষধি কেন্দ্রকে লোকে ‘মোদীর ওষুধের দোকান’ বলেও ডাকছেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে চাষের জমিতে ফসল ছড়ানোর জন্য ড্রোন তুলে দিয়ে মোদী বলেছেন, যাঁরা ড্রোন চালাবেন, তাঁদের ‘নমো ড্রোন দিদি’ নাম দেওয়ার পরামর্শ এসেছে।