অবশেষে ১৭ দিন পরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়েছেন আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক। বিদেশি অগার যন্ত্র এনে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ‘নিষিদ্ধ’ র্যাট মাইনিং পদ্ধতিতে তাঁদের বের করে আনা হয়। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেআইনি হলেও এই পদ্ধতির হয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার এই পদ্ধতি যেন একেবারে বাতিল না করা হয়, সেটাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইললিগ্যাল মাইনিং করে উদ্ধার করা হল উত্তরকাশীতে আটকে পড়া শ্রমিকদের। র্যাট মাইনিং পদ্ধতি মেনেই সাফল্য মিলেছে সুড়ঙ্গের মধ্যে। মমতার কথায়, ‘আমি বলেছিলাম, এটা বন্ধ করো না। ইলিগ্যাল হলেও কাজে লাগল তো।’ তিনি আরও বলেন, বিদেশি যন্ত্র বা বিশেষজ্ঞদের আনা হলেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত দেশীয় নিষিদ্ধ পন্থা মেনেই বের করে আনা হয় ৪১ জনকে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তার অভাবে র্যাট হোল মাইনিং নিষিদ্ধ করেছিল জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুন্যাল। ভূমি ক্ষয়, বনভূমি ধ্বংস, স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ব্যাঘাতের মতো পরিবেশগত বিপদ দেখা দেয় এই পদ্ধতিতে। ব়্যাট-হোল মাইনিং-এর ফলে মেঘালয়ের খনি থেকে অ্যাসিডের স্রোত ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নদীগুলিরও ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ। তবে ৪১ জনকে বাঁচাতে এই নিষিদ্ধ পদ্ধতির সাহায্যই নিতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের।